আমরা শুধু আমের মৌসুমেই আম খেতে পারি। কিন্তু সারা বছর আম পাওয়া যায় না। তাই, যদি বুদ্ধি করে, কাঁচা আম সংরক্ষন করতে পারি, তাহলে সারা বছরই আম খাওয়া সম্ভব হবে। তাই আজকে আমরা সারা বছর কাঁচা আম সংরক্ষণ করার সহজ পদ্ধতি জেনে নিব।
আমাদের আম সংরক্ষণ পদ্ধতি যদি জানা থাকে তবে সহজেই আমরা সারা বছর আম সংরক্ষণ করে রাখতে ও খেতে পারি।
তাহলে চলুন আর দেড়ি না করে এখনি কাঁচা আম সংরক্ষণের সহজ পদ্ধতি জেনে নিই।
কাঁচা আম সংরক্ষণ করার সহজ পদ্ধতি:
উপাদান:
- আম ১ কেজি নিতে হবে
- লবণ নিতে হবে ১৫০ গ্রাম
আম সংরক্ষণ পদ্ধতি বিস্তারিত:
আম সংরক্ষণের জন্য প্রথমেই টাটকা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আম বাছাই করতে হবে।
ভালো আম বাছাই করার পরে আমের বোঁটা ফেলে আম ধূয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
এখন আম গুলো ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
আম কাটার পরে আবার ধুয়ে একটি চালুনিতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
পানি ঝরানোর পরে একটি মাটির হাঁড়ি বা কাচের বয়াম বা প্লাস্টিকের কোটা ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
এখন আম ও লবণ একসাথে মিশিয়ে মাটির হাঁড়ি, কাচের বা প্লাস্টিকের কৌটায় রেখে ঢেকে, রেখে দিতে হবে।
এভাবে চার থেকে পাঁচ দিন রেখে দেওয়ার পরে দেখা যাবে পানি বের হয়েছে।
পানি বের হলে উক্ত পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপরে আবার আম পাত্রে ভোরে উপরে ১ সেন্টিমিটার পুরু লবণের স্তর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ঢাকনা দিয়ে এমনভাবে ঢাকতে হবে যেন বাতাস ঢুকতে না পারে। কারণ বাতাস ঢুকলে ছত্রাক জন্মাবে।
এভাবে আমরা লবণ দিয়ে সারা বছর কাঁচা আম সংরক্ষণ করতে পারি। লবনে রাখা আম নরম হয়।
এই আম দিয়ে খুব ভালো আচার তৈরি করা যায়। তবে আচার তৈরির আগে আম ফুটানো পানিতে ডুবিয়ে ৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন।
গরম পানি ফেলে দিয়ে আবার কয়েকবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধোয়ার পরে, আমে লবণের আন্দাজ এমন থাকবে যেনো, আচার বানানোর সময় আমে আর লবণ দিতে হয় না।
- রান্না শিক্ষার pdf বই
- বাড়িতে জন্মদিনের কেক বানানোর রেসিপি