বাড়িতে গুড়া দুধের ও সুজির রসগোল্লা বানানোর সহজ রেসিপি

প্রিয় পাঠক, আজ আমরা বাড়িতে গুড়া দুধের সাথে অন্যান্য উপাদান ও সুজির মিশ্রণ দিয়ে রসগোল্লা বানানোর সহজ ১টি রেসিপি জেনে নিব।

রসগোল্লা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। রসগোল্লা শুধু আমাদের কাছে খাবারেরই নাম নয় রসগোল্লা যেনো বাংলার একটি ঐতিহ্যর নাম। আমাদের গল্পে, গানে, কাব্যে, আচার-অনুষ্ঠানে রসগোল্লা কথাটি মিশে আছে।

এর প্রধান কারণ রসগোল্লার স্বাদ আর মিষ্টতা। সুতরাং, রসগোল্লা হলো আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার।

হাটে-বাজারে, বিয়ে সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা রসগোল্লা খেয়ে থাকি। আজ চলুন বাড়িতে রসগোল্লা তৈরি করি।

বাড়িতে রসগোল্লা বানানোর সহজ রেসিপি ও নিয়ম:

বাড়িতে রসগোল্লা বানানোর জন্য রেসিপি অনুযায়ী সমস্ত উপকরণের নাম ও পরিমান নিচের লিস্টে দেয়া হলো:

  • সুজি নিতে হবে ৩ টেবিল চামচ
  • চিনি ৫ কাপ (রসগোল্লা ঢুবানোর সিরার জন্য)
  • চিনি ২ টেবিল চামচ
  • দুধ ৩ টেবিল চামচ। দুধ না পেলে, গুড়া দুধের সাথে পানি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে।
  • ছানা নিতে হবে ১ কাপ
  • ময়দা নিতে হবে ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ
  • এলাচ গুড়া নিতে হবে ১ চা চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ
  • বেকিং পাউডার নিতে হবে ১ চা চামচের ১৬ ভাগের ১ ভাগ

রসগোল্লা বানানোর নিয়ম:

রসগোল্লা বানানোর আগে রসগোল্লার জন্য সিরা বানিয়ে রাখতে হবে। এজন্য একটি বড় লোহার কড়াইয়ে ৫ কাপ পানি, ৫ কাপ চিনি ও দুধ দিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হবে।

রসগোল্লার জন্য তৈরি সিরার মিশ্রণ যখন ফুটতে থাকবে, তখন সিরার উপর চিনির ময়লা জমলে, তা ডাবু হাতা দিয়ে তুলে ফেলতে হবে।

এখন রসগোল্লার সিরার আঁচ কমিয়ে রেখে দিতে হবে।

এবার, রসগোল্লার গুটি বানানোর জন্য প্রথমে ২ টেবিল চামচ চিনি ও বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিতে হবে।

ছানা অল্প মথে নিতে হবে! এখন ছানার সাথে চিনি ও বেকিং পাউডারের মিশ্রণ, ময়দা, সুজি ও এলাচ গুড়া মিশিয়ে আরো মথতে হবে।

ছানা ভালো করে মথে, ১৮ টি ভাগ করে গোল গোল কাঁচা রসগোল্লা বানাতে হবে।

ছানা দিয়ে বানানো সমস্ত কাঁচা রসগোল্লা একসাথে সিরার মধ্যে দিতে হবে। চুলার আঁচ এখন বাড়িয়ে দিতে হবে।

এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করার পরে রসগোল্লা সিরার উপর ভেসে উঠবে। তখন একটি বড় চামচ বা হাতা দিয়ে রসগোল্লা সিরার মধ্যে ডুবিয়ে ডুবিয়ে দিতে হবে।

এভাবে রসগোল্লা রান্না করার সময় উপরে ফেনা জমতে থাকলে, ১ কাপ পানি দুবারে দিতে হবে।

রসগোল্লা সহ সিরা জ্বাল দিতে থাকলে সিরা ঘন হয়ে আসবে। তাই রসগোল্লার সিরা প্রথম বারের মতোই পাতলা রাখতে মাঝে মাঝে পানির ছিটা দিতে হবে।

এভাবে যতক্ষণ রসগোল্লা চুলায় থাকবে; ততক্ষণ মাঝে মাঝে পানির ছিটা ও রসগোল্লা হাতা দিয়ে ডুবিয়ে ডুবিয়ে দিতে হবে।

রসগোল্লা ২০ থেকে ২৫ মিনিট রান্নার পরে একটি বাটিতে পানি নিয়ে তাতে একটি রসগোল্লা ছেড়ে দেখতে হবে, পানিতে যদি রসগোল্লা ডুবে যায় এবং রসগোল্লার আকার ঠিক থাকে তখন বুঝতে হবে রসগোল্লা বানানোর কাজ শেষ।

এখন রসগোল্লার কড়াইয়ে আরো ১ কাপ পানি ছিটিয়ে দিয়ে, চুলা থেকে রসগোল্লার কড়াই নামিয়ে, সিরা সহ রসগোল্লা একটি বড় গামলায় ঢেলে রাখতে হবে।

৭ থেকে ৮ ঘন্টা পরে রসগোল্লা খাওয়ার জন্য পরিবেশন করতে হবে।

Leave a Comment