তাল অনেক মিষ্টি ফল। আমরা পাকা তালের অনেক খাবার খেয়ে থাকি। এরমধ্যে পাকা তালের মিষ্টি রস দিয়ে তৈরি তাল দুধ অনেক জনপ্রিয়।
ভাদ্রমাসে যখন তাল পাকে, তখন চারিদিকে তালের তৈরি খাবারের ধুম পরে যায়। যেমন- তালের পিঠা, তালের ফুলুরি, তালের হালুয়া, তাল দুধ, তালের পায়েস, তালের জুস ইত্যাদি।
আমাদের দেশে সকল ফলের মধ্যে তাল হলো সবচেয়ে সস্তা। গ্রামে তাল কিনতে হয় না। তালগাছের নিচে পাকা তাল কুড়িয়ে পাওয়া যায়।
শহরেও অল্প টাকায় তাল কিনতে পাওয়া যায়। তাহলে চলুন- আমরা তাল দুধ তৈরি করার সকল নিয়ম ও রেসিপি জেনে আসি।
তালের তাল দুধ তৈরি উপকরন সমূহ:
- পাকা তালের রস নিতে হবে ২ কাপ
- চিনি নিতে হবে ১ কাপ
- দুধ নিতে হবে ৪ কাপ
পাকা তালের তাল দুধ তৈরির আসল নিয়ম:
মিষ্টি স্বাদের তাল নিতে হবে। অনেক তাল পাকলে স্বাধ তেতো হয়। তাই তালের রস বের করার আগে তাল খেয়ে দেখতে হবে।
তালের উপরের চামড়া ফেলে দিয়ে, তা সমান্য জলে ভিজিয়ে নিতে হবে। এখন একটি চিকন ছিদ্রের চালুনিতে চাললে তালের মিষ্টি রস বের হবে।
এভাবে ছেঁকে সহজেই তালের রস বের করা যায়। এখন তালের ২ কাপ রস আর চিনি এক সাথে চুলোয় জ্বাল দিতে হবে।
যখন তালের রসের পানি কমে যাবে এবং অনেকটা হালুয়ার মতো ঘন হবে, তখন চুলা থেকে নামিয়ে রাখতে হবে।
এরপরে, চুলা থেকে রস নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। এজন্য তালের রস রেফ্রিজারেটরে কিছুক্ষন রাখা যেতে পারে।
আবার ৪ পোয়া দুধ জ্বাল দিয়ে দিয়ে ৩ পোয়া করতে হবে।
এই দুধ আলাদা ভাবে ঠান্ডা করতে হবে। এজন্য দুধও ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
যখন, তাল ও দুধ ঠান্ডা হবে, তখন তাল ও দুধ এক সাথে মিশিয়ে খাবার জন্য পরিবেশন করতে হবে।
উপরের দেখানো উপায়ে আপনারা বাড়িতে তাল দুধ তৈরি করতে পারবেন।
এই তাল দুধ দিয়ে বা তালের তৈরি রস দিয়ে পিঠা তৈরি করতে পারবেন।
- আরো পড়ুন- তরমুজের শরবত তৈরির নিয়ম
প্রশ্ন-উত্তর:
পাকা তালে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি রয়েছে। এছাড়াও, তালের রসে খনিজ উপাদান, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার রয়েছে। পেট ঠান্ডা হয়। হজম শক্তি বাড়ে।
ভাদ্রমাসে তাল পাকে। অনেক বারোমাসি তালগাছে, সারা বছর তাল পাকে। তবে, ভাদ্রমাসের তাল সবচেয়ে বেশি মিষ্টি।
চৈত্র মাসে। চৈত্র মাসে তালের মিষ্টি রস পাওয়া যায়। যেমনটি শীতকালে খেজুরের রস হয়।
ময়দা, চিনি ও পাকা তালের রস দিয়ে।
ঐ দেখা যায় তাল গাছ,
ঐ আমাদের গাঁ..
কম্বোডিয়ার জাতীয় বৃক্ষ।